ডলারের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে সৌদি আরবের মুদ্রা রিয়ালের দামও অনেক বেড়ে গেছে। ফলে বাংলাদেশ সরকারের ইচ্ছা সত্ত্বেও হজের ব্যয় কমানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজলের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ কথা জানান। অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, হজে মুসল্লি প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও যেন পূর্ণ কোটায় হজযাত্রী পাঠানো যায় সেজন্য ২০২৩ সালের হজের চেয়ে ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কমিয়ে পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকার সাধারণ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সব শ্রেণিপেশার মানুষ যেন হজে যেতে পারেন সেজন্যই এটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মক্কা ও মদিনার অনেক এলাকায় বাড়ি ও হোটেল ভেঙে ফেলায় বাড়ি ভাড়ার ব্যয় এ বছর অনেক বেড়েছে। বৈশ্বিক নানা কারণে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় রিয়ালের মূল্যও অনেক বেড়েছে। এছাড়া মিনায় মিনা আরাফায় তাবু ভাড়াসহ মেয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কারণে সরকারের ইচ্ছা সত্ত্বেও হজের ব্যয় আর কমানো সম্ভব হয়নি।
ফরিদুল হক খান আরও বলেন, অধিক সুযোগ-সুবিধা আশা করেন এরকম হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের জন্য বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারি মাধ্যমের বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।